Mohammad Mokter Hossen
Vice-Chairman (Acting Chairman)
শিকড় থেকে শিখরে,অন্দর থেকে সভ্যতার চূড়ান্ত নোঙরে মানবাধিকার সমুজ্জ্বল থাকুক যুগ থেকে যুগান্তরে । “মানবাধিকার” শব্দটি সুপ্রাচীন; যুগ থেকে বিশদ বিবরণে, অসংখ্য সুচিন্তিত মতামতে সমৃদ্ধ, বিশেষজ্ঞদের নানা রকম বিশেষায়িত সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত। মানবাধিকারের ব্যাপ্তির ব্যাপকতা সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি জড়িয়ে,মানবাধিকার পৃথিবীর আনাচে কানাচে,মানব সভ্যতার পরতে পরতে ছড়িয়ে।কাগজে কলমে সভা সেমিনারে মানবাধিকার জ্বলজ্বলে চিরন্তন! বাস্তবতায় মানবাধিকারের কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে?
খুব ছোট বেলা থেকেই যখনই দেখেছি কোন মানুষ তাঁর ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন খুব ব্যথিত হতাম।বয়স ও সামর্থ্যের সংযোগে সাধ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি মানবতার কল্যাণে নিবেদিত থাকার। আত্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে নয় বরং আত্মবিনয়ী হয়ে বলছি, আল্লাহর সৃষ্টির কোন জীব কষ্ট পেলে কষ্ট লাগতো এখনো এর ব্যতিক্রম নয়।দেখবেন আপনার ছোট সন্তান কোন পশু পাখি/অথবা তার পরিচিত কোন প্রাণীর কষ্টে ব্যথিত হয় এটা তার মানবিক মূল্যবোধের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য যা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অমূল্য অনুগ্রহ। হয়তো পারিপ্বার্শিকতা এক সময় তাকে এই মানবিক মূল্যবোধ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। মানবিক মূল্যবোধের পরিচর্যা থেকে কখনোই শিশুদের দূরে রাখা উচিত নয়।প্রত্যেক শিশু যদি মানবিক মূল্যবোধে বড় হয় একটা মানবিক পৃথিবী খুবই সহজলভ্য হবে।সেখানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায়!
সংঘবদ্ধ সব কিছুই শক্তিশালী।যথারীতিভাবে মানবতার জন্য কাজ করাও খুব কার্যকর ও বিশদ প্রভাবিত প্রক্রিয়া। তাই একটা মানবাধিকার সংগঠনের সাথে খুব নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলাম। উদ্দেশ্য একটাই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত থাকা।কিন্তু দুর্ভাগ্য হয়তো আমার! সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দারুণ অভাব বোধ করলাম !বরং সেচ্ছাচারিতা খুবই বলিষ্ঠ ! নিজেকে বেমানান মনে হলো! হয়তো এটা আমার চরম ব্যর্থতা! তাই নিজের ব্যর্থতা কারো উপর ছাপিয়ে দেওয়া স্রেফ কাপুরুষতা। প্রসঙ্গটা অর্বাচীন! ক্ষমা প্রার্থনা দ্ব্যর্থহীন! মানবাধিকার লালন করি অন্তরে, বাস্তবতায়নের চেষ্টা করি কর্মে,ধর্মে ও নৈতিক দায়িত্ববোধে। তাই একটা মানবিক পৃথিবীর প্রত্যাশায়, “অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে, সব সময়-সর্বাগ্রে ” সমমনা সজ্জনদের সমন্বিত প্রচেষ্টাই প্রতিষ্ঠিত হলো “বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন” ।- প্রতিটি শিশুর অধিকার রয়েছে সবুজ শৈশবের। শিশুদের জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশ ও প্রাণবন্ত শৈশব নিশ্চিতকরণ রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত দায়িত্ব ।
- বৃদ্ধ বাবা মার সন্তানদের প্রতি তাঁদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠত করা।
- অসহায় ও নিঃসন্তান বৃদ্ধ বাবা মায়ের জন্য বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করণ।
- বিচারহীনতার অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করণ।
- মেয়েদের স্বচ্ছন্দ ও নিরাপদে বিদ্যালয়ে গমন নিশ্চিত করণ।
- মানবিক মূল্যবোধের একটা অহিংস পৃথিবী গঠন।
- সুবিধা বঞ্চিতদের শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করণ।
- সর্বোপরি যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন, সেখানেই মানবাধিকার নিশ্চিত করা।